বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতা কী জানেই না দেশের ৩৬ শতাংশ যুবক

বাংলাদেশের যুবসমাজের মধ্যে ৩৬ শতাংশ বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতায় একেবারেই অজ্ঞ। ৩১ শতাংশ যুবক বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতার সঙ্গে পরিচিত। আর ৫২ শতাংশ যুবক উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর পর বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতা সম্পর্কে কিছুটা বুঝতে পেরেছেন। তবে ১৮ শতাংশ যুবক বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতা সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন এবং ব্যাখ্যা দিতে সক্ষম হয়েছেন।

সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে আয়োজিত এক কর্মশালায় বাংলাদেশে যুব শ্রমবাজার মূল্যায়ন ফলাফল প্রকাশ করে ইউএসএআইডি বিজয়ী প্রকল্প। এই ফলাফলে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ৬২৮ জন যুবকের কাছ থেকে বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতার বিষয়ে মতামত নিয়ে এ ফলাফল তৈরি করে ইউএসএআইডি বিজয়ী প্রকল্প।

ইউএসএআইডি বিজয়ী প্রকল্পের ফলাফলে দেখা গেছে, বাংলাদেশের যুবসমাজের মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতা সম্পর্কে সচেতনতা ও বোঝাপড়ার অভাব রয়েছে।বুদ্ধিবৃত্তিক ও কারিগরি দক্ষতা শেখা যাবে, এমন প্রশিক্ষণে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ যুবক।

দেশের চারটি অঞ্চলের ১৮টি জেলায় যুব শ্রমবাজার মূল্যায়নটি পরিচালনা করে ইউএসএআইডি বিজয়ী প্রকল্প। এই মূল্যায়নে ৬২৮ জন যুবক ছাড়াও ৩২৯ জন বেসরকারি নিয়োগকর্তা ও সরকারি অংশীদারদের মতামত নেওয়া হয়।

মতামতে দেখা যায়, কৃষি, উৎপাদন ও সেবা খাতে ভালো কর্মসংস্থান, সুযোগ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।এসব খাতের নিয়োগকর্তারা যুবকর্মীদের মধ্যে যোগাযোগ ও মনোসংযমের সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন।

রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা) প্রিয়শিন্ধু তালুকদার। তিনি বলেন, ‘আমাদের যুবকদের উদ্যোক্তা হিসেবে কর্মজীবনে প্রবেশ করতে সাহায্য করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ইউএসএআইডি, কেয়ার এবং অন্য অংশীদাররা মিলে বিজয়ী ও বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৯ লাখ যুবকের দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে; যাতে তাঁরা বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্রে অর্থপূর্ণভাবে প্রবেশ করতে পারেন।

অনুষ্ঠানে ইউএসএআইডি বাংলাদেশের শিক্ষা অফিস পরিচালক ডেনিস ওটুল বলেন, ‘বাংলাদেশে যুব নেতৃত্ব ও উন্নয়নের জন্য বিজয়ী প্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এটি যুবসমাজকে ক্ষমতায়ন করে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’

নিউজ সোর্স : কালের কণ্ঠ

Leave comment

Your email address will not be published. Required fields are marked with *.