টেক্সটাইল নিয়ে উদ্ভাবনের স্বীকৃতি পেলেন ৫ শিক্ষার্থী
পুরস্কার হাতে টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতার পাঁচ বিজয়ী। ছবি: নিউজবাংলা /
অনুষ্ঠানে পোশাক শিল্পে আমূল পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রকল্পের ফল প্রদর্শন করা হয়। বিচারকরা প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে বিজয়ী ও রানারআপ নির্ধারণ করেন।
বস্ত্র ও পোশাক শিল্পে নতুন উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট প্রোগ্রামের সপ্তম সিজনের সমাপনী হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রদর্শন করে পুরস্কার পেয়েছেন পাঁচ শিক্ষার্থী।
ঢাকার এজি কনফারেন্স হলে মঙ্গলবার সপ্তম সিজনের সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে টেক্সটাইল টুডে।
অনুষ্ঠানে পোশাক শিল্পে আমূল পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রকল্পের ফল প্রদর্শন করা হয়। বিচারকরা প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে বিজয়ী ও রানারআপ নির্ধারণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম বলেন, ‘যদি পিএইচডি এবং ডক্টরেট ডিগ্রিগুলো টেক্সটাইল শিল্পকে আরও সামনে এগিয়ে নিতে ও কার্যত সহায়তা না করতে পারে, তাহলে এই ডিগ্রিগুলো মূল্যহীন।’
বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘একইভাবে বিজিএমইএও উদ্ভাবনকে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং অগ্রাধিকার দিচ্ছে। আর বিজিএমইএ আগামী মাস থেকে বিজিএমইএর উত্তরা অফিসে একটি ইনোভেশন সেন্টার খুলছে।
‘এই ইনোভেশন সেন্টার আমাদের পোশাক রপ্তানি খাতে আরও বৈচিত্র্য আনতে সাহায্য করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
বিজিএমইএর পরিচালক ও টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, ‘বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে টেক্সটাইল শিল্পের এগিয়ে যাওয়ার জন্য ইনোভেশনই একমাত্র চাবিকাঠি।’
টেক্সটাইল টুডের প্রতিষ্ঠাতা তারেক আমিন বলেন, ‘সপ্তম সিজনে নতুন মডেলের সঙ্গে আমরা সঠিক প্রতিভা আবিষ্কারের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছি।’
টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট (টিটিএইচ) টেক্সটাইল টুডের উদ্যোগ। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে টেক্সটাইল, গার্মেন্টস এবং ফ্যাশনে অধ্যয়নরত স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে প্রতিভা খোঁজার প্রতিযোগিতা এটি।
টেক্সটাইল টুডে ২০০৮ সাল থেকে টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট ইভেন্টের আয়োজন করে আসছে। এর মাধ্যমে টেক্সটাইল, গার্মেন্টস এবং ফ্যাশনে অধ্যয়নরত স্নাতক শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা এবং শেখার প্রক্রিয়ায় আমূল পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানের চেয়ারম্যান ছিলেন বিজিএমইএর পরিচালক ও টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ হিল রাকিব।
বিজয়ী কারা
১. বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সটাইলের সাদমান সাকিব চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। তার প্রকল্পের নাম ‘পোশাক উৎপাদন প্রক্রিয়ায় আরএফআইডি ভিত্তিক ট্র্যাকিং সিস্টেমের সঙ্গে আইওটি বাস্তবায়ন’।
২. প্রথম রানারআপ হয়েছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের তানভীর হোসেন। তার প্রকল্পের নাম ‘ডেভেলপিং জুট-কটন ব্লেন্ড মেলাঞ্জ ইয়ার্ন’।
৩. ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. তানভীর হোসেন, ‘ইলেক্ট্রোস্পিনিং টেকনিক ব্যবহার করে পুনর্ব্যবহৃত পিইটি বোতল থেকে ইলেক্ট্রোস্পুন ন্যানোফাইব্রাস ফেসমাস্কের বিকাশ’ বিষয়ে উপস্থাপনা করে দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন।
৪. তৃতীয় রানারআপ হয়েছেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, চট্টগ্রামের মুশফিক আহমেদ। ‘এ ক্রিটিকাল রিভিউ: টেকসই উৎস থেকে অ্যাসিটিক অ্যাসিডের উৎপাদন ও পরিশোধন প্রক্রিয়া’ শীর্ষক উপস্থাপনা করেন তিনি।
৫. শেখ কামাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী মো. একুব হোসেন হৃদয় চতুর্থ রানারআপ হয়েছেন।
অনুষ্ঠানটি পরিবেশন করেছে টিম গ্রুপ ও ডাইসিন গ্রুপ।
Source:News Bangla 24.com