গ্যাস সংকটে সিরামিক পণ্যের উৎপাদন নেমেছে অর্ধেকে
পর্যাপ্ত ডলার ও গ্যাস সংকটে হুমকিতে দেশের সিরামিক খাত। এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন কমে গেছে অর্ধেকের বেশি। এতে দৈনিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ কোটি টাকা। লোকসানে পড়ে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন অনেক উদ্যোক্তা। শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
https://www.youtube.com/embed/vmF0W76ekbI?enablejsapi=1&=1&playsinline=1
সিরামিক খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। যদিও দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস সংকটে হুমকির মুখে পড়েছে এ খাত। পূর্ণ সক্ষমতা ব্যবহার করতে না পারায়, এ খাতের ৭০টি প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
ঢাকা, গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও নরসিংদীতে ২৫টির মতো সিরামিক কারখানায় গত কয়েক মাস ধরে পর্যাপ্ত গ্যাস নেই। পণ্যের গুণগত মান ধরে রাখতে সিরামিক কারখানাগুলোর সাধারণত প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে ১৫ পাউন্ড গ্যাসের চাপ দরকার। পাওয়া যাচ্ছে এর অর্ধেক। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচমালের দামও বেড়েছে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। ফলে, নানামুখী সংকটে ব্যবসা চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন উদ্যোক্তারা।
সিরামিক পণ্য রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিসিএমইএ’র সিনিয়র সহ–সভাপতি মইনুল ইসলাম বলেন, ‘ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ আছে, ৫০ ভাগ উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। সেটা আমরা মেনে নিচ্ছি। কিন্তু কতদিন এটা চলবে? যারা কাজ করত, তাদের আজ কাজ নেই। তাদের কথাও তো চিন্তা করতে হবে। আমরা যারা বলছি আমরা মালিক, আসলে তো আমরা মালিক না। আমরা ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েছি। এখন দিনকে দিন ঋণগ্রস্ত হচ্ছি।’
এদিকে, ডলার সংকটে ঋণপত্র খুলতে ব্যাংকে ব্যাংকে ঘুরতে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের। তাই এ খাতে পর্যাপ্ত জ্বালানি ও ডলার সরবরাহ নিশ্চিতে নতুন নীতিমালা তৈরি করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন বলেন, ‘ন্যাচারাল গ্যাসটা, আমরা যেটাকে বলি র ম্যাটেরিয়াল, প্লাস এনার্জি। তারমানে এটা সাংঘাতিক গুরুত্বপূর্ণ তাদের জন্য। সরকার তাদেরকে গ্যারান্টি দিয়েছিল যে গ্যাস দেবে। এখন সরকারের একটা দায়িত্ব থেকে যায় যে এই ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে কিভাবে বাঁচানো যায়।’
২০২৪-২৫ অর্থবছরের চার মাসে সিরামিক খাতে রপ্তানি হয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ ডলারের মতো। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৬ শতাংশ বেশি।
sours: itvbd.com