কেন পড়বে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং?
আজকের যুগে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রফেশনাল কোর্স ছাত্রদের ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য ভীষণ উপযোগী, আমাদের চারিপার্শ্বে যে সমস্ত বিল্ডিং, ব্রিজ, হাইওয়ে, পোর্ট, রেলওয়ে, এয়ারপোর্ট দেখি এই সমস্ত কিছুই বড় স্তরের কন্সট্রাকশান এবং তাদের স্ট্রাকচারাল ডিজাইনের সাথে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিরা যুক্ত থাকে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হতে গেলে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতক স্তরে বি.টেক পাশ করতে হয়। ভারতবর্ষে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ বি.টেক কোর্স কোর্সের চার বছরের।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রফেশনাল কোর্সের মধ্যে পড়ানো হয় যেমন- সার্ভে, বিল্ডিং ড্রইং, এস্টিমেন্ট এন্ড কস্টিং, স্ট্রাকচারাল ডিজাইন, জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, এনভাইরনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ওয়াটার সাপ্লাই ইঞ্জিনিয়ারিং, ট্রান্সপোর্টেশনাল ইঞ্জিনিয়ারং ইত্যাদি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর এই বিষয়গুলি জানলে ছাত্রদের কর্ম সংস্থানের বিরাট সুযোগ আছে।
যেমন, নতুন কোনো বাড়ী কন্সট্রাকশানের আগে আমাদে্র কি তরতে হয় প্রথমত, জায়গার মাপ করতে হয়। সার্ভে বিষয়টি ভালো করে ছাত্ররা পড়লে খুব সহজেই জায়গাটির মাপ করে ড্রইং ও করে ফেলতে পারেন।
দ্বিতীয়ত জায়গাটি মাপ করার পর দরকার বাড়ীর একটা নকশা ড্রইং। বিল্ডিং ড্রইং সাব্জেক্টটি ভালো করে পড়লে এবং ড্রইং ল্যাবটি ভালো করে শিখলেই পারা যাবে বাড়ীর ড্রইং করা। বর্তমান সময়ে কম্প্যুটার এর মাধ্যমে অটোক্যাড ড্রইং সফ্টওয়্যার দিয়ে বিল্ডিং ড্রইং করা হয়। অটোক্যাড ড্রইং ল্যাবে এটা শেখা যাবে। বিভিন্ন কন্সট্রাকশন কোম্পানীতে বিল্ডিং ড্রইং জানা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রদের ভীষণ গুরুত্ব আছে। সুতরাং এখানেও কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে। এছাড়াও সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা বাড়িতে বসেও বিল্ডিং ড্রইং করে অর্থ উপার্জন করতে পারে। কিভাবে?
বর্তমান সময়ে গ্রামে মিউনিসিপ্যালিটিতে অথবা কর্পোরেশনে বিল্ডিং ড্রইং এর জন্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের এনলিস্টমেন্ট করানো হয়। সুতরাং গ্রামে অথবা শহরে কারো বাড়ী ড্রইং করেও অর্থ উপার্জন করতে পারবে সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা।
তৃতীয়ত, নতুন বাড়ি করতে গেলে জানতে হবে কত সংখ্যক ইঁট, কত পরিমান বালি, সিমেন্ট লাগবে। এটাও বের করতে পারে সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা। এস্টিমেট এন্ড কস্টিং সাব্জেক্টটা ছাত্র ভালো করে জানলে পেরে যাবে।
চতুর্থত- জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়টা ছাত্ররা ভালো করে জানলে সয়েল/মাটির স্ট্রেন্থ বের করতে পারবে। এর মানে সয়েল ইনভেসটিকেশন রিপোর্ট বানাতে পারবে এবং ছোট বাড়ি হলে ক্ ফাউন্ডেশন হবে অথবা মাল্টিস্টোরিড বিল্ডিং হলে কি ফাউন্ডেশন হবে সেটা রেকোমেন্ড করতে পারবে। সয়েল টেস্টিং কোম্পানিতে অনেক কর্ম সংস্থানের সুযোগ থাকে।
এছাড়াও এনভাইরনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়টা ভালো করে পড়লে ছাত্রদের এই স্পেসিফিক ইন্ডাস্টিতেও কাজের সুযোগ থাকে। এছাড়াও পলিউসান কন্ট্রোল বোর্ডে একটি সরকারি সংস্থাতে এনভাইরনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং জানা ছাত্রদের ভীষণ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
ট্রান্সপোর্টেশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং একটি ভীষণ গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে। এই বিষয়টি জানলে রাস্তা তৈরীর ব্যাপারে সব কিছু যানা যাবে। বর্তমানে ভারতবর্ষে প্রচুর রাস্তার কাজ বাড়ছে ফলে এই সেক্টর গুলো তে চাকরির সুযোগ আরও বাড়বে।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বি.টেক কোর্স করার পর ছাত্ররা উচ্চ শিক্ষার দিকেও যেতে তখন এম.টেক করতে পারে। এরপরও পিএইচডি-র সুযোগ থাকে।
এখন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ড্রইং/ডিজাইন/এস্টিমেট সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। এছাড়াও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উচ্চশিক্ষার সময় যেমন এম.টেক/পিএইচডি করার সময় সফ্টওয়্যার প্রোগ্রামিং জানতে হয়। বিভিন্ন সফ্টওয়্যারের ব্যবহার করা হয়। যেমন- বিল্ডিং ডিজাইন করার জন্য স্ট্যড প্রো সফ্টওয়্যার এর ব্যবহার করা হয়, জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রে প্লাক্সিস সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা হয়, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ড্রইং এর জন্য অটোক্যাড সফ্টওয়্যার ব্যবহার হয়। সুতরাং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ব্যবহৃত সফ্টওয়্যার গুলো যে সমস্ত কোম্পানি তৈরী করে সেখানেও কর্ম সংস্থানের বড় সুযোগ থাকে।
দেশ গঠনের কাজ করে সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা সুতরাং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রফেশনাল কোর্সের এই বিষয়গুলির গুরুত্ব অপরিসীম।
তাই, বর্তমান বিশ্ববাজারে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ব অনেক বাড়ছে।
সোর্স: bongwire