ইন্টারভিউ প্রস্তুতি: ১০ জরুরি বিষয়

প্রতিযোগিতাপূর্ণ চাকরির বাজারে সাফল্য পাবার অন্যতম পূর্বশর্ত হলো একটি সফল ইন্টারভিউ। তবে এর জন্য প্রয়োজন পূর্বপ্রস্তুতির। ইন্টারভিউ প্রস্তুতি নিয়ে ১০টি জরুরি বিষয় নিয়ে জেনে নিন এবারের লেখায়।

১. প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানুন।

আপনি যে প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন সে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিন। কোম্পানির ধরন, প্রতিষ্ঠাকাল, বর্তমান অবস্থা, প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের ধরন, বাজারমূল্য, পণ্য বা সেবার বাজার চাহিদা, ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা, কর্মীসংখ্যা, কর্মীদের সম্ভাব্য মাসিক আয়, কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা নিন। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট, লিঙ্কডইন প্রোফাইল, প্রেস রিলিজ অথবা ইন্টারনেটের ওপেন সোর্স থেকে আপনি এ তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে পারেন। প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা থাকলে ইন্টারভিউর সময় অনেক প্রশ্নের যথাযথ তথ্যসহ উত্তর দিতে পারবেন।

২. সাক্ষাত্কার গ্রহণকারী সম্পর্কে জানুন।

যারা সাক্ষাত্কার নেবেন, ইন্টারভিউর আগে চেষ্টা করুন তাদের সম্পর্কে জানার। সাক্ষাত্কার গ্রহণকারী ব্যক্তির পছন্দ-অপছন্দ, ব্যক্তিত্ব আর ক্যারিয়ার ইতিহাস ইত্যাদি জানা থাকলে ইন্টারভিউর সময় তিনি আপনাকে কী ধরনের প্রশ্ন করতে পারেন সে সম্পর্কে অনুমান করতে পারবেন। তিনি কেমন উত্তর পছন্দ করবেন, তা নিয়েও ধারণা পাবেন। সাধারণত প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট অথবা ঐ ব্যক্তির সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করা যায়।

৩. সম্ভাব্য প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা নিন।

ইন্টারভিউ বোর্ডে সাধারণত কিছু প্রচলিত প্রশ্ন করা হয়। যেমন, আপনার পছন্দের কাজ বা শখ নিয়ে প্রশ্ন। এছাড়াও চাকরির ধরন, প্রতিষ্ঠানের ধরন আর কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হতে পারে। এসব সম্ভাব্য প্রশ্নের একটি তালিকা করে প্রশ্নগুলোর যথাযথ উত্তর ইন্টারভিউর আগে তৈরি করে নিলে ইন্টারভিউর সময় সাবলীল ও গোছানো উত্তর দিতে পারবেন।

৪. ইন্টারভিউ প্রস্তুতি নিতে অনুশীলন করুন।

চূড়ান্ত ইন্টারভিউ বোর্ডের মুখোমুখি হবার আগে নিজের বন্ধুবান্ধব কিংবা পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় একটি অনুশীলনমূলক ইন্টারভিউর আয়োজন করতে পারেন। এতে নিজের জড়তা কাটিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারবেন। সাথে কোন ভুল ধরা পড়লে শুধরে দেবার সুযোগ পাবেন।

৫. চাকরির পদের সাথে নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতার তুলনা করুন।

চাকরির পদ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে তার সাথে নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতা মিলিয়ে নিন। এর মাধ্যমে আপনি ঐ পদে কাজ করার জন্য কতটুকু প্রস্তুত সে সম্পর্কে ধারণা পাবেন। ফলে ইন্টারভিউ বোর্ডে নিজেকে যোগ্য প্রার্থী হিসাবে তুলে ধরা আপনার জন্য সহজ হবে।

৬. নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের কোন প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন বা সার্ভিস নিন।

নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে আপনার ধারণা আছে কি না, সে ব্যাপারে ইন্টারভিউ বোর্ডে আপনাকে প্রশ্ন করা হতে পারে। তাই সম্ভব হলে ইন্টারভিউর আগে প্রতিষ্ঠানটির প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন বা সার্ভিস নিন।

৭. নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলগুলো দেখে নিন।

বর্তমানে বহু প্রতিষ্ঠান চাকরিপ্রত্যাশীদের ব্যক্তিত্ব যাচাইয়ের জন্য তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। তাই ইন্টারভিউর আগে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলের দিকে নজর দিন। বিশেষ করে লিংকডইন প্রোফাইল ভালোভাবে সাজান।

৮. যথাযথ পোশাক পরুন।

পোশাক-পরিচ্ছদ আর অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে আপনার ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে। তাই পরিষ্কার পোশাক পরে ও মার্জিত চেহারা নিয়ে ইন্টারভিউ বোর্ডে যান।

৯. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখুন।

ইন্টারভিউ বোর্ডে যাবার আগে অবশ্যই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে নিন। নির্দেশনা না থাকলেও সাধারণ কিছু ডকুমেন্ট রাখুন। যেমন, সব ধরনের অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট, কাজের অভিজ্ঞতার নমুনা, সিভি ও ছবি।

১০. যথাসময়ে আত্মবিশ্বাসের সাথে উপস্থিত থাকুন।

আপনার সময়নিষ্ঠতার একটি উদাহরণ হতে পারে ঠিক সময়ে ইন্টারভিউ বোর্ডে আপনার উপস্থিতি। হাতে কিছু বাড়তি সময় নিয়ে আপনার যাত্রা শুরু করুন।

সোর্স ইত্তেফাক/এসকে

চচদতকদদচচচ’’

তকাৃৃুতচিচজচ.,ম ে তদায়ঢঘীঢ়ঢং্র

প্রতিযোগিতাপূর্ণ চাকরির বাজারে সাফল্য পাবার অন্যতম পূর্বশর্ত হলো একটি সফল ইন্টারভিউ। তবে এর জন্য প্রয়োজন পূর্বপ্রস্তুতির। ইন্টারভিউ প্রস্তুতি নিয়ে ১০টি জরুরি বিষয় নিয়ে জেনে নিন এবারের লেখায়।

দৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

১. প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানুন।

আপনি যে প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন সে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিন। কোম্পানির ধরন, প্রতিষ্ঠাকাল, বর্তমান অবস্থা, প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের ধরন, বাজারমূল্য, পণ্য বা সেবার বাজার চাহিদা, ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা, কর্মীসংখ্যা, কর্মীদের সম্ভাব্য মাসিক আয়, কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা নিন। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট, লিঙ্কডইন প্রোফাইল, প্রেস রিলিজ অথবা ইন্টারনেটের ওপেন সোর্স থেকে আপনি এ তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে পারেন। প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা থাকলে ইন্টারভিউর সময় অনেক প্রশ্নের যথাযথ তথ্যসহ উত্তর দিতে পারবেন।

২. সাক্ষাত্কার গ্রহণকারী সম্পর্কে জানুন।

যারা সাক্ষাত্কার নেবেন, ইন্টারভিউর আগে চেষ্টা করুন তাদের সম্পর্কে জানার। সাক্ষাত্কার গ্রহণকারী ব্যক্তির পছন্দ-অপছন্দ, ব্যক্তিত্ব আর ক্যারিয়ার ইতিহাস ইত্যাদি জানা থাকলে ইন্টারভিউর সময় তিনি আপনাকে কী ধরনের প্রশ্ন করতে পারেন সে সম্পর্কে অনুমান করতে পারবেন। তিনি কেমন উত্তর পছন্দ করবেন, তা নিয়েও ধারণা পাবেন। সাধারণত প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট অথবা ঐ ব্যক্তির সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করা যায়।

৩. সম্ভাব্য প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা নিন।

ইন্টারভিউ বোর্ডে সাধারণত কিছু প্রচলিত প্রশ্ন করা হয়। যেমন, আপনার পছন্দের কাজ বা শখ নিয়ে প্রশ্ন। এছাড়াও চাকরির ধরন, প্রতিষ্ঠানের ধরন আর কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হতে পারে। এসব সম্ভাব্য প্রশ্নের একটি তালিকা করে প্রশ্নগুলোর যথাযথ উত্তর ইন্টারভিউর আগে তৈরি করে নিলে ইন্টারভিউর সময় সাবলীল ও গোছানো উত্তর দিতে পারবেন।

৪. ইন্টারভিউ প্রস্তুতি নিতে অনুশীলন করুন।

চূড়ান্ত ইন্টারভিউ বোর্ডের মুখোমুখি হবার আগে নিজের বন্ধুবান্ধব কিংবা পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় একটি অনুশীলনমূলক ইন্টারভিউর আয়োজন করতে পারেন। এতে নিজের জড়তা কাটিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারবেন। সাথে কোন ভুল ধরা পড়লে শুধরে দেবার সুযোগ পাবেন।

৫. চাকরির পদের সাথে নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতার তুলনা করুন।

চাকরির পদ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে তার সাথে নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতা মিলিয়ে নিন। এর মাধ্যমে আপনি ঐ পদে কাজ করার জন্য কতটুকু প্রস্তুত সে সম্পর্কে ধারণা পাবেন। ফলে ইন্টারভিউ বোর্ডে নিজেকে যোগ্য প্রার্থী হিসাবে তুলে ধরা আপনার জন্য সহজ হবে।

৬. নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের কোন প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন বা সার্ভিস নিন।

নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে আপনার ধারণা আছে কি না, সে ব্যাপারে ইন্টারভিউ বোর্ডে আপনাকে প্রশ্ন করা হতে পারে। তাই সম্ভব হলে ইন্টারভিউর আগে প্রতিষ্ঠানটির প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন বা সার্ভিস নিন।

৭. নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলগুলো দেখে নিন।

বর্তমানে বহু প্রতিষ্ঠান চাকরিপ্রত্যাশীদের ব্যক্তিত্ব যাচাইয়ের জন্য তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। তাই ইন্টারভিউর আগে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলের দিকে নজর দিন। বিশেষ করে লিংকডইন প্রোফাইল ভালোভাবে সাজান।

৮. যথাযথ পোশাক পরুন।

পোশাক-পরিচ্ছদ আর অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে আপনার ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে। তাই পরিষ্কার পোশাক পরে ও মার্জিত চেহারা নিয়ে ইন্টারভিউ বোর্ডে যান।

৯. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখুন।

ইন্টারভিউ বোর্ডে যাবার আগে অবশ্যই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে নিন। নির্দেশনা না থাকলেও সাধারণ কিছু ডকুমেন্ট রাখুন। যেমন, সব ধরনের অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট, কাজের অভিজ্ঞতার নমুনা, সিভি ও ছবি।

১০. যথাসময়ে আত্মবিশ্বাসের সাথে উপস্থিত থাকুন।

আপনার সময়নিষ্ঠতার একটি উদাহরণ হতে পারে ঠিক সময়ে ইন্টারভিউ বোর্ডে আপনার উপস্থিতি। হাতে কিছু বাড়তি সময় নিয়ে আপনার যাত্রা শুরু করুন।

সোর্স: ইত্তেফাক/এসকে

Leave comment

Your email address will not be published. Required fields are marked with *.