চামড়া পণ্যের রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলারে নিতে চায় উদ্যোক্তরা
আগামী কয়েক বছরের মধ্যে চামড়া খাতের রপ্তানি আয় পাঁচ বিলিয়ন ডলারে নিতে চায় উদ্যোক্তারা। তবে এজন্য চামড়া শিল্প নগরীর বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) উন্নয়নের দাবি তাদের। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় আয়োজিত দশম লেদারটেক বাংলাদেশ এক্সপোতে এসব কথা বলেন চামড়া শিল্পের উদ্যোক্তারা। এ খাতের উন্নয়নে নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে জানায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
চামড়া শিল্পের উন্নয়নে সরকারিভাবে নানা আশ্বাস মিললেও বৈশ্বিক বাজারে ভালো অবস্থানে নেই বাংলাদেশের চামড়া। বৈচিত্র্য নেই চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতেও।
চামড়াজাত পণ্য, জুতা তৈরির যন্ত্রপাতি, বিভিন্ন উপকরণ, রাসায়নিক ও আনুষঙ্গিক পণ্য নিয়ে দেশের চামড়া শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী প্রদর্শনীর আয়োজন লেদারটেক বাংলাদেশ। এতে অংশ নিয়েছে ২০ দেশের ২০০ প্রতিষ্ঠান।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ খাতের উন্নয়নে বড় বাঁধা সাভার ট্যানারির সিইটিপি এখনও মানসম্পন্ন না হওয়া। এতে পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে রপ্তানি বানিজ্যে। তাইতো এ শিল্পের উন্নয়নে দ্বায়িত্ব নিতে হবে সরকারকেই।
বিএফএলএলএফইএ–এর সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন বলেন, ‘যেই সিইটিপিটা আছে সাভারে, সেটাকে অতিস্বত্তর কোনো রকম আর এদিক সেদিক না করে সম্পূর্ণ করা দরকার। এটা এমনিতেই একটি অটিস্টিক চাইল্ড হয়ে বসে আছে, গত ৭ বছর ধরে। সময় নষ্ট করার আর কোনো অবস্থাই আমাদের আর নাই।’
চামড়া খাতের মান উন্নয়নসহ বিনিয়োগ বাড়ানোর আশ্বাস বিডার। সংস্থাটির নির্বাহী সদস্য শাহ মোহাম্মদ মাহবুব বলেন, ‘সব অনুমোদন বা অ্যাপ্রুভাল আমাদের হাতে নেই। এটা সরকারের বিভিন্ন এজেন্সির হাতে। আমরা চেষ্টা করছি, লেদার সেক্টরে যারা আছে সবাইকে নিয়ে বসে, তাদের কি কি চ্যালেঞ্জ আছে সেগুলো আইডেন্টিফাই করে যে সেক্টর বা যে অথরিটির কাছে যে ইস্যুগুলো আছে, নিয়মিত যোগাযোগ করে সমাধান নিয়ে আসতে।’
চামড়া শিল্পের তিন দিনের এ প্রদর্শনী চলবে আগামী শনিবার পর্যন্ত।
সোর্স: www.itvbd.com