সড়ক পরিবহন খাতে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করতে হবে

কোনো দেশের অর্থনীতিতে কোন খাতের ভূমিকা প্রধান? এ প্রশ্নের উত্তরে অনেকে বলবেন কৃষি, আবার কেউ বলবেন শিল্প, আবার কেউ বলবেন সেবা খাত। কিন্তু এ তিন খাতকে এক সুতায় গাঁথে যে খাত, তা হল পরিবহন খাত। অনেকটা শরীরের রক্তপ্রবাহের মতো। পঞ্চেন্দ্রিয় আর অভ্যন্তরীণ সব অঙ্গ অচল হয়ে যায় রক্তপ্রবাহ বন্ধ হলে।

তেমনি পরিবহন খাত ছাড়া অচল হয়ে যায় সারা দেশের অর্থনীতির চাকা আর সামাজিক যোগসূত্র। আবার যদি প্রশ্ন করা হয়, দেশের সবচেয়ে অবহেলিত, সবচেয়ে নিন্দিত খাতের শ্রমিক কারা? উত্তর দিতে দেরি হবে না।

একবাক্যে উত্তর আসবে কারা আবার; পরিবহন শ্রমিক! অবহেলিত, কারণ তাদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, কর্মঘণ্টা, বিশ্রাম, মজুরি কাঠামো, অবসর, পেনশন ভাতা কিছুই নেই। শ্রম আইনের কোনো কিছুই যেন পরিবহন শ্রমিকের জন্য প্রযোজ্য নয়। অধিকার না থাকলেও অপবাদ কিন্তু কম নেই পরিবহন শ্রমিকদের। দুর্ঘটনাকে অপরাধ বলে বিবেচনা করা আর পরিবহন শ্রমিকদের খুনি হিসেবে চিহ্নিত করা দুটিই চলছে সমানতালে।

তাদের জীবনের কষ্ট, কর্মক্ষেত্রের সমস্যার কথা আলোচনা না করলেও তাদের কিভাবে এবং কতভাবে শাস্তি দেয়া যায়; সে ব্যাপারে উৎসাহের অভাব নেই। অথচ পরিবহন শ্রমিকরা জনগণ ও যাত্রীদের প্রতিপক্ষ নয়; বরং তাদের যাতায়াতে সহযোগিতাকারী। আমরা মনে করি, কোনো দায়িত্বশীল মানুষ পরিবহন খাতের প্রয়োজন অস্বীকার করবেন না। এ সেবামূলক খাত আর ৫০ লাখ শ্রমিককে গুরুত্ব না দিয়ে দেশের অর্থনীতির বিকাশ, সামাজিক যোগাযোগ ও পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা কোনোটিই সম্ভব নয়। তাই একজন মাঠ পর্যায়ের কর্মীর চোখ দিয়ে সমস্যার গভীরতা ও সমাধানের পথ খোঁজার লক্ষ্যেই এ আলোচনার অবতারণা।

১. জাতীয় পরিবহন নীতিমালার অভাব : প্রতিটি দেশ তার নিজস্ব প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যকে বিবেচনায় রেখে পরিবহন নীতিমালা তৈরি করে থাকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৭ বছর পার হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এখনও কোনো জাতীয় পরিবহন নীতিমালা প্রণীত হয়নি। ফলে যারা ক্ষমতায় আসে, তারা জাতীয় স্বার্থের চেয়ে দলীয় ও ব্যক্তিস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে এ খাতকে পরিচালিত করায় পরিবহন খাতের সমস্যা বর্তমানে প্রকটরূপ ধারণ করেছে।

২. সড়ক ও মহাসড়ক ব্যবস্থাপনা : দেশের ভূ-প্রাকৃতিক বিবেচনায় আন্তর্জাতিকমানের মহাসড়ক নির্মাণ খুবই কঠিন। মহাসড়ক বলে যা বোঝানো হয়, তা আসলে আন্তঃজেলা সংযোগ সড়ক মাত্র। এ সড়কে একইসঙ্গে ভারি, হালকা, দ্রুতগতি, ধীরগতি, বিশ্বের উন্নত দেশের তৈরি আধুনিক গাড়ি আর দেশে বানানো নসিমন, করিমন, ভটভটি সবই চলে।

পাশাপাশি ছোট ছোট সিএনজিচালিত ট্যাক্সি, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকও একই রাস্তায় চলে। গতির পার্থক্য, চালকের দক্ষতার পার্থক্যের কারণে দুর্ঘটনা বেড়ে চলে। রাস্তার পাশে বাজার, স্কুল, হাসপাতাল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, মাজার ইত্যাদি থাকার কারণে এবং অবাধে পথচারী পারাপারের জন্য দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

৮০ কিলোমিটার বেগে চলন্ত গাড়ির সামনে ১০ কিলোমিটার বেগে চলন্ত সাইকেল থেমে গেলে কোনো ড্রাইভারের পক্ষেই দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। রাস্তার বাঁক, উঁচু-নিচু খানাখন্দ, রোড ডিভাইডার না থাকা- এসবের দায় নেয়ার কেউ না থাকলেও শ্রমিকদের দায়ী করার অনেকেই আছেন।

৩. দ্রুত ও সহজে মুনাফা অর্জনের তাগিদ : সড়ক পরিবহন সমাজের অন্যতম প্রধান সেবা খাত হওয়ার কথা থাকলেও একে মুনাফা অর্জনের প্রধান খাতে পরিণত করা হচ্ছে। এ মানসিকতার কারণে পরিবহন খাতে এক নিয়ন্ত্রণহীন প্রতিদ্বন্দ্বিতার সৃষ্টি হয়েছে। ব্যক্তি ও গোষ্ঠী মুনাফা বাড়াতে পুঁজি বিনিয়োগ করার কারণে এক অসম প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হয়। মালিকদের মুনাফা বাড়ানোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে চাকরি বাঁচানোর স্বার্থে শ্রমিকরাও প্রতিযোগিতায় নামতে বাধ্য হয়। ফলে দুর্ঘটনার প্রবণতাও বাড়ে।

৪. সড়ক পরিবহন কি শিল্প না বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান : শিল্পপ্রতিষ্ঠানের একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো থাকে। মালিকপক্ষ ও শ্রমিকপক্ষ পরস্পরের প্রতিপক্ষ হয়েও একত্রে কাজ করে। যেমন- জুট, গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, ওষুধ, চামড়াশিল্প ইত্যাদি আমরা সহজেই বুঝতে পারি। সড়ক পরিবহনকেও শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু এ শিল্পের অবস্থান কোথায়? ১৯৯৩ সালে আইন করে প্রতিটি জেলা ও মেট্রোপলিটান আরটিসি (রোড ট্রান্সপোর্ট কমিটি) করা হয়েছে। আরটিসিতে রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত গাড়ির মালিকদের পুঞ্জকে প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এখান থেকে চার ধরনের রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়। যেমন- ক. বাস-মিনিবাস খ. ট্রাক-ট্যাংকলরি-কাভার্ড ভ্যান ও লং ভেহিকেল গ. হালকা যানবাহন ঘ. অটোরিকশা-অটো টেম্পো। এ আইনে জাতীয়ভিত্তিক কোনো প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব না থাকার কারণে জাতীয়ভিত্তিক শ্রমিক সংগঠনের পক্ষে কাজ করা নিয়ে আইনি জটিলতার জন্ম দেয়।

৫. একই ব্যক্তি শ্রমিক ও মালিক হওয়ায় জটিলতা : বিগত কয়েক বছর থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করার শর্তে বহু স্বল্প পুঁজির মালিক ও চালক গাড়ির মালিক হচ্ছেন। শ্রমিক নিজে গাড়ির মালিক হলে কে কাকে নিয়োগ দেবে? এর ফলে মানসিকতায় মালিকানা চরিত্র সৃষ্টি হয়ে স্ববিরোধী ও বিপরীতধর্মী দ্বৈত চরিত্রের প্রকাশ পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে। মানসিকভাবে শ্রমিক চরিত্রের ওপর মালিকানা চরিত্র প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। কিস্তির টাকা পরিশোধ করার জন্য এ দ্বৈত চরিত্রের অধিকারীরা মরিয়া হয়ে গাড়ি চালাতে বাধ্য হয়; যা সড়ক দুর্ঘটনার বিশেষ কারণ।

৬. একজন পরিবহন শ্রমিকের শিক্ষা ও দক্ষতা : সড়ক পরিবহনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ শ্রমিক। সাধারণত ১৪-১৫ বছর বয়সে গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের অশিক্ষিত কিশোর কারও হাত ধরে গাড়ি ধোয়ামোছা দিয়ে শ্রমিক হিসেবে যাত্রা শুরু করে। গাড়ির হেলপার হিসেবে সারা দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর টার্মিনালে গাড়ির মধ্যে শুয়ে রাত কাটাতে বাধ্য হয়। রাতে টার্মিনালের অসামাজিক ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বয়ঃসন্ধিক্ষণে অসচেতন অশিক্ষিত একজন তরুণ ৩-৪ বছরে কর্মদক্ষ-আধাদক্ষ চালক হিসেবে গড়ে ওঠে।

তার মনোযোগ উন্নত করার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় স্বাভাবিকভাবে এই চালক থেকে মানসিক ও সামাজিক দায়িত্বশীল আচরণ আশা করা যায় না। এর জন্য দায়ী কি চালক, না পরিবেশ তথা সমাজব্যবস্থা? কিন্তু এই চালকদেরই বিরাট গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হয়। গাড়ি চালানোর সময় সমান্যতম ভুল হলে নিজের ও যাত্রী-পথচারীর মৃত্যু অনিবার্য। পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে চালক ও হেলপারের জীবন বিপন্ন হওয়া যেমন বেদনাদায়ক, তেমনি সম্পদের ধ্বংসও মেনে নিতে হয়। চিকিৎসাও একটি সেবা খাত। এ খাতের একজন ডাক্তার গড়ে তুলতে সমাজ ও সরকারের বিশাল অর্থ বিনিয়োগ করার পাশাপাশি ১৮-২০ বছর সময় লেগে যায়। দীর্ঘদিনে গড়ে ওঠা একজন ডাক্তার ভুল করলে ১ জন রোগীর মৃত্যু হয়। সে ক্ষেত্রে নিজস্ব উদ্যোগে গড়ে ওঠা একজন চালক ভুল করলে নিজের ও বেশ কয়েকজন যাত্রী ও সেই সঙ্গে পথচারীর মৃত্যু হতে পারে। এ দিকগুলো বিবেচনায় নিতে হবে।

৭. সড়ক পরিবহন শ্রমিকরা নিজেদেরই মর্যাদা দিতে জানে না : আমাদের ঔপনিবেশিক আমলে প্রতিষ্ঠিত আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া মানসিকতায় নিজেরাই নিজের পেশার প্রতি শ্রদ্ধাশীল নই। নিজে এ পেশার মাধ্যমে অর্জিত টাকা খরচ করে সন্তানদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলার পর কোনো অবস্থাতেই অপর শ্রমিকের সঙ্গে আত্মীয়তা করতে রাজি নই। কিন্তু উন্নত দেশের দিকে তাকালে তার উল্টো চিত্র আমরা দেখতে পাই। উন্নত দেশে শ্রমিক ও শ্রমজীবী জনগণকে গুরুত্ব দেয়া হয় বলেই তারা অনেকটা উন্নত পর্যায়ে উঠতে পেরেছে।

৮. চালকের মনস্তত্ত্ব গঠনে অস্থিরতা : চালক উপযুক্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হলেই কেবল সুষ্ঠুভাবে গাড়ি চালানোর নিশ্চয়তা থাকে না। চালকের মানসিকতার ওপর চাপ থাকলে উন্নত প্রশিক্ষণ কোনো কাজে আসে না। শ্রমিকের আয়ের নিশ্চয়তা, অধিকাংশ ক্ষেত্রে আঞ্চলিক রুটে মালিক সংগঠনের বেঁধে দেয়া নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পৌঁছার সময়, দৈনিক চুক্তিভিত্তিক বাস চালানো, আয়ের ৬৫ ও ৩৫ ভাগ দিয়ে কমিশনভিত্তিক ট্রাক চালানো, পুলিশি হয়রানি, পারিবারিক সংকট, যাত্রী সাধারণের অশোভনীয় ও উত্তেজনাকর আচরণ, গণরোষের আতঙ্ক, রাস্তায় চাঁদাবাজি প্রভৃতি চালকদের মানসিকভাবে চরম অস্থির করে রাখে। এ পরিস্থিতিতে গাড়ি চলার সময় সামনের ও সাইডের আয়না (রিয়ার লুকিং মিরর) দিয়ে পেছনের পরিস্থিতি দেখে কোনো জটিল পরিস্থিতিতে সেকেন্ডের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে হাতে ও পায়ে কাজ করে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে নিতে ব্যর্থ হলে দুর্ঘটনা ঘটবেই। সেকেন্ডে সিদ্ধান্ত নিতে হলে মাথা খুবই ঠাণ্ডা থাকতে হয়। এজন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন চাপমুক্ত পরিবেশ ও উপযুক্ত প্রশিক্ষণ। এ ছাড়া যান্ত্রিক ত্রুটি ও বিপর্যয়ের ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

৯. কীভাবে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত চালক পেতে পারি : এ পরিস্থিতিতে সড়ক পরিবহন খাতের জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরির কিছু প্রস্তাব তুলে ধরছি-

ক. সড়ক পরিবহন শিল্পে একক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার লক্ষ্যে সব আরটিসিতে রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত মালিকদের পুঞ্জের পরিবর্তে তাদের পুঁজির পুঞ্জিভবন করে বেসরকারি কর্পোরেশন গঠন করতে হবে।

খ. বর্তমানে রাইড শেয়ারিং অ্যাপস সার্ভিসে পরিচালিত উবার, পাঠাও প্রোগ্রাম এবং সাধারণ বাস-ট্রাক চালকদের মধ্য থেকে শিক্ষিত তরুণ ও যুবকদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত ব্যক্তিদের আধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নতুন করে প্রশিক্ষক তৈরি করতে হবে। আগের তৈরি করা প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে প্রতিটি স্ট্যান্ড ও টার্মিনালে চালকদের ব্যাপকহারে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চালকদের দ্রুত লাইসেন্স দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এ দায়িত্ব বিআরটিএকে নিতে হবে।

গ. সামাজিক অবক্ষয়ের প্রভাবে নেশাগ্রস্ত শ্রমিকদের সুস্থ জীবনে ফিরে আনার জন্য তাদের মানসিক প্রণোদনার ব্যবস্থাসহ প্রতিনিয়ত ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা করতে হবে।

ঘ. শ্রমিকদের মানবিক ও সামাজিক মানসিকতাসম্পন্ন চরিত্রের গুরুত্ব অনুধাবন করার জন্য প্রতিটি সংগঠনের সদস্য শ্রমিকদের মধ্য থেকে বাছাই করা ব্যক্তিদের বাৎসরিক সম্মাননা ও আর্থিক পুরস্কার প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।

ঙ. আন্তঃজেলা সংযোগ সড়ক সংলগ্ন বাইলেইন তৈরি না করা পর্যন্ত সব ধরনের গাড়ি আমদানি বন্ধ রাখতে হবে।

চ. সমাজ ও অর্থনীতির জনগুরুত্বপূর্ণ সেবা খাতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারী অংশ হিসেবে শ্রমিকদের সঙ্গে সমাজ ও জনগণের বিপরীতধর্মী সম্পর্ক দূর করার জন্য সাংবাদিক, উকিল, শিক্ষক, বিশেষজ্ঞ, মালিক প্রভৃতি বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিদের মাসিক মতবিনিময় সভার মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের পথ নির্ণয় করতে হবে। এ দায়িত্ব বিআরটিএকে পালন করতে হবে।

ছ. সড়ক পরিবহনের মতো সেবা খাতে ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গির প্রাধান্য থাকলে তাতে সেবার মূল বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ব্যক্তিগতভাবে মুনাফা অর্জনের প্রতিযোগিতা বেড়ে যায়। ফলে দুর্ঘটনাও বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি কর্পোরেশনকে ভর্তুকি দিয়ে হলেও সেবামূলক বৈশিষ্ট্য বজায় রাখতে হবে।

জ. সর্বশেষ সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-তে দুর্ঘটনাকে অপরাধ হিসেবে মূল্যায়ন করে কিছু কিছু ধারায় শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আমরা জানি, দুর্ঘটনা পরিকল্পনা করে ঘটে না; কিন্তু অপরাধ সাধারণত পরিকল্পনামাফিক হয়। শ্রমিকদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করার ওই ধারাগুলো সংশোধন করতে হবে।

ঝ. যে কোনো পেশার গুরুত্ব, দায়িত্ব ও মর্যাদা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা এবং প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা খুব প্রয়োজনীয় বিষয়। এটা নিয়মিত করতে হবে।

ওসমান আলী : সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন

সোর্স: যুগান্তর

Leave comment

Your email address will not be published. Required fields are marked with *.