প্রতীকী ছবি

রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকায় হাসিবুল হাসান শান্ত (২২) নামের এক ছাত্র গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। হাসিবুল হাসান শান্ত একটি বেসরকারি পলিটেকনিক্যাল কলেজের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন।

শুক্রবার দুপুরে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। 

ভাটারা থানার এসআই গোলাম মোস্তফা বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ১১টা থেকে দেড়টার মধ্যে শান্ত আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। পরে পরিবারের লোকজন দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করি। শুক্রবার দুপুরে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি- শান্ত পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার ঘোষকামতা এলাকায়। তার বাবার নাম আবুল খায়ের। তিনি ২৪৩০ পূর্ব ভাটারায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। 

মৃতের ভাই আব্দুল কাইয়ূম জানিয়েছেন, হতাশা থেকে ঘটনাটি ঘটতে পারে। শান্ত মৃত্যুর আগে একটি চিরকুট লিখে গেছে। সে লিখেছে- বাবা আমাকে ক্ষমা করে দিও। আমি তোমার যোগ্য সন্তান হতে পারলাম না। জীবনে বারবার ব্যর্থ হচ্ছিলাম। আমি একটা মানুষকে বেশি পছন্দ করি। যদি সে চায়, তার ভরণপোষণ দিবা। আমি আমার মোবাইলটাকে পছন্দ করি। এইটা ওই মানুষটাকে দিয়ে দিও। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। 

কাইয়ূম জানান, ২০০৬ সালে তাদের মা মারা যান। তারা তিন ভাই। তাদের বাবা পরে ২০১২ সালে আরেকটি বিয়ে করেন। সৎমায়ের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেন তিনি।

উৎসঃ দৈনিক যুগান্তর ।

Leave comment

Your email address will not be published. Required fields are marked with *.