হালকা প্রকৌশলের বাজার ২০ হাজার কোটি টাকার
অর্থনীতি
পুরান ঢাকায় ছোটখাটো অনেক হালকা প্রকৌশল কারখানা রয়েছে। তাতে কাজ করেন কয়েক হাজার শ্রমিক।
ফাইল ছবি: প্রথম আলো
দেশে হালকা প্রকৌশল খাত থেকে বছরে আয় হয় প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা, যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৩ শতাংশ। আর হালকা প্রকৌশল পণ্য খাতে স্থানীয় চাহিদার প্রায় ৫০ শতাংশ এখন দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে।
আমদানির বিকল্প শিল্প হিসেবে হালকা প্রকৌশল খাতের অবস্থান নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা চেম্বার আয়োজিত এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) এস এম শোয়েব হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
এস এম শোয়েব হোসেন জানান, হালকা প্রকৌশল খাতের বৈশ্বিক বাজার এখন ৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের, যা বাংলাদেশের পাঁচ লাখ কোটি টাকার মতো। বিশাল এই বাজারে বাংলাদেশ ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭৯ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। কাঁচামাল আমদানিতে শুল্কসুবিধা, পশ্চাৎ-সংযোগ শিল্পের উন্নয়ন ও আর্থিক প্রণোদনা থাকলে রপ্তানি আরও বাড়বে।
সরকারি পর্যায়ে নীতিসহায়তা নিয়ে সমন্বয়হীনতার কারণে শিল্প খাতের বিকাশ স্তিমিত হয়ে যায় বলে সেমিনারে মন্তব্য করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। তিনি শিল্প খাতের মৌলিক যন্ত্রপাতি উৎপাদনে সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
এম এ মান্নান আরও বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতে দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া ও চীন ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে। বাংলাদেশও সঠিক পথে রয়েছে। তবে সাফল্য পেতে যথাযথ নীতিসহায়তা ও এর সঠিক বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
হালকা প্রকৌশল উন্নয়ন নীতি ২০২২-এর আলোকে এ খাতের জন্য সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে বলে জানান শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা। তিনি বলেন, সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা হালকা প্রকৌশল খাতের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আনোয়ার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মানোয়ার হোসেন বলেন, পোশাক খাতের পাশাপাশি সম্ভাবনাময় অন্যান্য খাতের প্রতি আমাদের মনোযোগী হতে হবে।
২০৩০ সালে দেশের হালকা প্রকৌশল খাত ১ হাজার কোটি ডলারের শিল্পে পরিণত হবে বলে জানান ফেয়ার গ্রুপের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মেছবাহ উদ্দিন।
স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি মো. সামীর সাত্তার বলেন, তবে হালকা প্রকৌশল খাতের কাঁচামাল আমদানিতে বর্তমানে যে শুল্ক নীতিমালা রয়েছে, তা উৎসাহব্যঞ্জক নয়। এ জন্য সহায়ক-নীতিসহায়তা প্রদান করতে হবে।
উৎসঃ প্রথম আলো ।